“Education is not Preparation of life, rather it is living” শিক্ষা শুধু জীবন প্রস্তুতির উপায় নয়, তা জীবন-যাপনের প্রণালীও বটে। শিক্ষাকে জীবনব্যাপি অনুসরণীয় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে হবে এবং অভিজ্ঞতাকে শিক্ষা লাভের স্বাভাবিক কৌশল হিসেবে বিবেচনায় রাখতে হবে। আধুনিক শিক্ষা দর্শনে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিসত্তা বিকাশের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি স্বাতন্ত্রবোধ জাগ্রত করা এবং তাকে আত্মসত্তার আস্থাবান করে তোলাই শিক্ষার প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
এ স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ–পাঠ্যক্রম কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছাত্রদের শারীরিক ও মানসিক গুণাবলীর সর্বোচ্চ উৎকর্ষ সাধন যাতে তারা সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে এবং ভবিষ্যতে দেশ ও জাতিকে উপযুক্ত নেতৃত্ব দিতে পারে। অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে অভিজ্ঞ, প্রশিক্ষিত ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকমন্ডলী, অত্যাধুনিক পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ল্যাব ও ব্যবহারিক ক্লাস এবং অত্যাধুনিকস্মার্ট ক্লাস রুম। । এ প্রতিষ্ঠানে রয়েছে আধুনিক তথ্য ও বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি; যেখানে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন বই।প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত এবং প্রকৃতিগতভাবে সাবলীল একটি আবাসিক প্রতিষ্ঠান।
রাজশাহী জেলার অন্তর্গত দুর্গাপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম। দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। বর্তমান সরকারের ভিশন ২০২১ ও ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন অন্তে ২০৪১ সালের উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক ওয়েবসাইটটি চালু ও পরিচালনার চেষ্টা করছি। আমি আশা করি এই ওয়েবসাইটটি অভিভাবক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। বর্তমান সরকারের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে আমরা বর্তমানে গ্লোবাল ভিলেজের অধিবাসী।
আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও উদ্ভাবনী বাংলাদেশ যার স্তম্ভ চারটি নিম্নরুপঃ (১) স্মার্ট সিটিজেন; (২) স্মার্ট গভর্নমেন্ট; (৩) স্মার্ট ইকোনমি শক্তি; (৪) স্মার্ট সোসাইটি। বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তর করতে তরুণ প্রজন্ম হচ্ছে চালিকা শক্তি। এই তরুণ সমাজকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। তারই অংশ হিসেবে বিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রম অনলাইন সফ্টওয়ারের মাধ্যমে সম্পন্ন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ভবিষ্যতে ছাত্রী ও শিক্ষকদের ডাটাবেজ তৈরি করে সংরক্ষণ করা হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে ওয়েবসাইটি ব্যবহার করার জন্য আমি সকলকে অনুরোধ করছি।
দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি রাজশাহী জেলার অন্তর্গত দুর্গাপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত। তৎকালীন সংসদ সদস্য জনাব তাজুল ইসলাম মোহাম্মদ ফারুক সাহেব (প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি) এলাকার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সংগে নিয়ে অত্র এলাকার নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য ১৯৯৪ সালে “দুর্গাপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” টি স্থাপন করেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, রাজশাহী অঞ্চল কর্তৃক ০১/০১/১৯৯৪ খ্রিঃ তারিখ হতে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর অনুমোদন করেন। অতঃপর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী কর্তৃক ১৯৯৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ সহ নবম শ্রেণী এবং ১৯৯৬ সালে দশম শ্রেণী অনুমোদন লাভ করে। বিদ্যালয়টিতে মানবিক, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখা সহ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার অধীনে এসএসসি ভোকেশনাল শাখা চালু আছে। ০১/০৫/১৯৯৫ খ্রিঃ তারিখ হতে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর এবং ০১/০৪/১৯৯৯ খ্রিঃ তারিখ হতে মাধ্যমিক স্তর এমপিও ভুক্ত। প্রতিষ্ঠা লগ্ন হতে অত্র বালিকা বিদ্যালয় টি এলাকার নারী শিক্ষা বিস্তারে সন্তোষ জনক ভূমিকা পালন করে আসছে।